করোনায় কর্মহীন হয়ে দে;হব্যবসায় ঝুঁ;কছেন শিক্ষার্থীরা

কোভিড-১৯ সংক্র;মণ কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এর ছাপ পড়েছে সর্বত্র। বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছেন বিশ্বের হাজারো মানুষ। বৈশ্বিক ম’হা’মা’রি’র প্রভাব বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোতেও। ইউরোপ-আ’মেরিকার দেশগুলোর বড় বড় শহরগুলোতেও হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেছে।

বহির্বিশ্ব থেকে যু’ক্তরাজ্য, যু’ক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ ইউরোপের দেশগুলোতে যাওয়ার শিক্ষার্থী ও তরুণরা এসব রেস্তোরাঁয় কাজ করত। এই উপার্জন দিয়ে পড়ালেখার খরচ আসত, সংসার চলত।করো’না ম’হা’মা’রি’র ফলে ব্রিটেনসহ পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশেই পাব এবং দোকানপাট বন্ধ। এসব স্থানে কাজ করে বহু শিক্ষার্থী তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ফি পরিশোধ করতেন। এসব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে এসব শিক্ষার্থীর অনেকে সম্ভ্রম বিক্রির পথ বেছে নিচ্ছেন।

এমতাবস্থায় এসব শিক্ষার্থীকে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে দে;হপসারিণীদের ইউনিয়ন ইংলিশ কালেকটিভ অব প্রস্টিটিউটস (ইসিপি)।তারা বলেছে, তাদের কাছে এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজপ;ড়ুয়া বহু যু;ব;তি সাহায্য চেয়ে হেল্পলাইন্সে যোগাযোগ করছেন। তারা স;ম্ভ্র;ম নিয়ে ব্যবসা করতে চান। সেই অর্থ দিয়ে এসব শিক্ষার্থী তাদের ফি পরি;শোধ করতে চান। এ খবর দিয়েছে ব্রিটেনের ট্যাবলয়েড পত্রিকা ডেইলি মেইল।

ইসিপি বলেছে, এ বছর দেহদানের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনকারী এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা এরইমধ্যে এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেহপসারিণীদের অধিকারবিষয়ক ওই গ্রুপটি আরও বলেছে, লকডাউন দেওয়ার ফলে অসংখ্য শিক্ষার্থী আর্থিক সং’ক’টে পড়েছেন। ফলে দে;হব্যবসার মাধ্যমে উপার্জনকারী তরুণী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রিটেনের ওই পত্রিকাটির প্রতি;বেদনে বলা হয়েছে, অনেক শিক্ষার্থী নিজের ন”গ্ন ছবি বিভিন্ন সাইটে বিক্রি করছে।

কারণ বার এবং দোকানপাটে তাদের জন্য কোনো কাজ নেই। তাই প্রতিদিন এভাবে অর্থ উপার্জন এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পরাম’র্শ চেয়ে প্রতিদিন আটজন যুবতি শিক্ষার্থী ওই ইসিপির কাছে ফোন করছেন।এক্ষেত্রে কোনো কোনো ইউনিভা’র্সিটি নির্দেশনা প্রকাশ করছে। তাতে বলা হয়েছে, কী’ভাবে নি;রা;পদে দে’হ বিক্রি করতে হবে। ইসিপির মুখপাত্র লরা ওয়াটসন বলেছেন, টিউশন ফি পরিশোধ করতে প”তি”তা”বৃ”ত্তি”তে যুবতি শিক্ষার্থীদের যু’ক্ত হওয়ার ঘ;টনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের এই গ্রুপে যেসব যুবতি যু’ক্ত হয়েছেন তারা কমপক্ষে ৩০ হাজার পাউন্ড ঋণ পরিশোধ করতে এ পেশায় এসেছেন।

তিনি বলেন, করো’না ম’হা’মা’রি শুরুর পর থেকে অসংখ্য নারী তার চাহিদা মেটাতে যৌ;;ন ”ক”র্ম”কে বেছে নিতে শুরু করেছেন। পাব এবং দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব যুব;তির সামনে কোনো বিকল্প খোলা নেই। তাই তারা বেঁ;চে থাকার জন্য এসব কাজ করছেন।১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসিপি। তখন থেকেই তারা যৌ;;ন”ক”র্মী”দে”র প্রতি বৈ’ষ’ম্যে’র প্র;তি;বা;দে, তাদের অধিকার ও নি;রাপ;ত্তা উন্নত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। মিসেস ওয়াটসন বলেন, প্রথমবার লকডাউন দেওয়ার পর গণহারে তরু;ণীরা অনলাইনের সঙ্গে যু’ক্ত হন। সুত্রঃ যুগান্তর